আর এই দিন থেকে পরবর্তী ২১ দিন পর্যন্ত চলে ভগবানের " চন্দন শোভাযাত্রা" মহোৎসব অনুষ্ঠান ।
২১ দিন সুগন্ধি চন্দন, কর্পূর ও অগুরু মিশিয়ে ভগবানের শ্রীঅঙ্গে লেপন করা হয়। এতে পরমেশ্বর ভগবান খুবই তৃপ্ত হন ।
তাই এই দিনগুলোতে বেশি বেশি হরিনাম জপ, কীর্তন ও ভক্ত সেবা ( বৈষ্ণব সেবায় ) দিন অতিবাহিত করলে ভালো।
আর তুলসী পরিক্রমা ও মহাপ্রসাদ ভোজন করলে খুব ভালো।
অক্ষয় তৃতীয়ার তাৎপর্য
(১) এই শুভদিনে বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার (শ্রীমদ্ভাগবত অনুযায়ী ভগবানের ষোড়শ অবতার) পরশুরাম আবির্ভূত হয়েছিলেন।
(২) মহর্ষি বেদব্যাস এর মুখনিঃসৃত বাণী শুনে
শ্রীগণেশ এই দিনে মহাভারত রচনা আরম্ভ
করেছিলেন।
(৩) এই দিনে রাজা ভগীরথ গঙ্গা দেবীকে মর্ত্যে নিয়ে এসেছিলেন।
(৪) এইদিনে সত্যযুগ শেষ হয়ে ত্রেতাযুগের সূচনা ঘটে। ঋষিগণ, ভক্তগণ এই দিনটির স্মরণে যজ্ঞের আয়োজন করেন এবং যজ্ঞের প্রধান উপকরণ হিসেবে বার্লি রাখা হয়।
(৫) এই দিনই ভক্তরাজ সুদামা শ্রীকৃষ্ণের সাথে দ্বারকায় গিয়ে দেখা করেন এবং তাঁর থেকে সামান্য চালভাজা নিয়ে শ্রীকৃষ্ণ তাঁর সকল দুঃখ মোচন করেন।
(৬) এদিন থেকেই পুরীধামে শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উপলক্ষ্যে রথ নির্মাণকাজ শুরু হয়।
(৭) এদিন দেবী অন্নপূর্ণার আবির্ভাব ঘটে।
(৮) এদিনই দুঃশাসন দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ করতে যান এবং শরণাগতের পরিত্রাতা হিসেবে সখী কৃষ্ণাকে রক্ষা করেন শ্রীকৃষ্ণ।
(৯) এদিন কুবেরের তপস্যায় তুষ্ট হয়ে মহাদেব তাঁকে অতুল ঐশ্বর্য প্রদান করেন।
(১০) কেদার বদরী গঙ্গোত্রী যমুনত্রীর যে মন্দির ছয়মাস বন্ধ থাকে এই দিনেই তার দ্বার উদ্ঘাটন করা হয়। দ্বার খুললেই দেখা যায় সেই অক্ষয়দ্বীপ যা ছয়মাস আগে জ্বালিয়ে রাখা হয়েছিল।
হরে কৃষ্ণ
No comments: